কন্টেন্ট রাইটিং কী? কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায়?

বর্তমান সময়ে “কন্টেন্ট রাইটিং” খুবই পরিচিত একটি ফ্রিল্যান্স কাজের নাম যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কিন্তু কি এই কন্টেন্ট রাইটিং? কীভাবে এটি শেখা সম্ভব?

প্রশ্নগুলোর যথাসম্ভব সহজ উত্তর দিয়েই এই আর্টিকেলটি সাজানো যাতে করে আপনি সহজেই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। প্রথমেই আলোচনা করা যাক কন্টেন্ট রাইটিং এর বেসিক কিছু ব্যাপার।

কন্টেন্ট রাইটিং কাকে বলে?

কন্টেন্ট রাইটিং দিয়ে মূলত নির্দিষ্ট টপিক এর উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট লেখাকে বোঝায়। কন্টেন্ট রাইটাররা তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য টাকার বিনিময়ে কন্টেন্ট লিখে দেন এবং সেই কন্টেন্ট নেটে পাবলিশ করে ক্লায়েন্টরা ডিজিটাল মার্কেটিং,এডসেন্স প্রভৃতির মাধ্যমে আয় করেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কেবল মাত্র এক ধরণের নয়। কন্টেন্ট রাইটিং এর অসংখ্য প্রকারভেদ রয়েছে। এরমধ্যে

ব্লগ রাইটিং,স্ক্রিপ্ট রাইটিং,টেকনিকাল রাইটিং, এড এন্ড প্রোমো রাইটিং,কপিরাইটিং,সোশাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং, গোস্ট রাইটিং, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শিখবেন

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনার সবার প্রথমে বিভিন্ন রকম কন্টেন্টের উপর রিসার্চ করা প্রয়োজন। কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনি চাইলে ফ্রি রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন, অথবা পেইড রিসোর্সও নিতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য কোর্স কেনা উচিৎ নাকি না- এটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বন্দ দেখা যায়। এই আর্টিকেলে ফ্রি এবং পেইড রিসোর্সের তুলনামূলক আলোচনা থেকে আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটির উপর নির্ভর করবেন। 

ফ্রিতে কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায় 

ফ্রিতে চাইলে এখন ইন্টারনেট থেকে আপনি অনেক কিছুই শিখতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিংও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব,স্কিলশেয়ার,কোর্সেরা,ইউডেমী,ইত্যাদি জায়গায় সার্চ করলে আপনি খুব সহজেই প্রচুর ফ্রি কোর্স পাবেন কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য।

কিন্তু এসব ফ্রি রিসোর্স ইউজ করার কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন:

  • ইন্টারনেট একটি মহাসমুদ্র। এখানে প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন আছে,সেরকম অপ্রয়োজনীয় জিনিসেরও অভাব নেই। তাই এই মহাসমুদ্র থেকে প্রাথমিক অবস্থায় প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় এর পার্থক্য করাটা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে।
  • আপনার উপর কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির গাইডলাইন থাকবে না। আপনি ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছেন নাকি সঠিক পথে সেটা বলার মতো কেউ থাকবে না।
  • আপনাকে কোনো কমিউনিটি ক্যাচ করতে কষ্ট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে একটা কমিউনিটিতে ফিট হওয়া অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনি কোন সমস্যায় পড়লে আপনাকে সাহায্য করার মতো মানুষ থাকবে না।
  • বেশীরভাগ ফ্রি রিসোর্সই পরিপূর্ণ হয় না। কোনো না কোনো গ্যাপ থেকেই যায়। সেই গ্যাপ এর ভেতর আপনিও পড়ে যেতে পারেন।

এই অসুবিধাগুলো মাথায় না রেখে এর উপর নির্ভর করলে আপনি আপনার লক্ষ্যে না পৌঁছানোর সম্ভাবনাই বেশী। তাই চেষ্টা করবেন নিজের অবস্থান নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার।

কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে কি পেইড কোর্স কেনা উচিৎ?

আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তবে একটি পেইড কোর্সের আন্ডারে থাকলে লাভ ব্যতীত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। পেইড কোর্স করলে আপনি কিছু বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবেন। যেমন:

  • আপনার শেখার জন্য সব এলিমেন্টস একটি সিলেবাস আকারে সাজানো থাকবে। যার কারণে আপনার সময় নষ্ট হবে না।
  • আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং এর সব ধরণ সম্পর্কেই একদম প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ধারণা দেয়া হবে।
  • আপনি একজন অভিজ্ঞর আন্ডারে থাকবেন যেটি আপনাকে বিশেষ সুবিধা দেবে।
  • আপনি যথেষ্ঠ সাপোর্ট পাবেন।
  • মার্কেটপ্লেস ক্যাচ করা এই জগতের সবচেয়ে কঠিন ও জটিল কাজ। এই ব্যাপারে আপনাকে যথেষ্ট ট্রেইনিং দিয়েই যোগ্য করে তোলা হবে।

পেইড কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনেও করতে পারেন, আবার অফলাইনে যেকোনো প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমেও করতে পারেন। তবে দুটোতেই তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বরং অনলাইনে করলে আপনি বারবার ভিডিও রিপ্লে করার সুযোগটা পাবেন।

অনলাইন করবেন নাকি অফলাইন সেটি আপনার সুযোগ-সুবিধা বুঝেই নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন। যদি অনলাইনে সাধ্যের মধ্যে কোনো কোর্স করতে চান তাহলে আমাদের তরফ থেকে সাজেশন থাকবে Muntaseer Rahman এর কন্টেন্ট রাইটিং কোর্সটি করার। 

এই কোর্সে আপনারা যা যা পাবেনঃ

  • টোটাল কোর্স লেসনঃ ২৫টি
  • কোর্স ডিউরেসনঃ ৬ঘন্টা+
  • রিসোর্স শীট বা চিট শিট (হেডলাইন লিখার টেকনিক)
  • স্পেশাল কমিউনিটি (ফেসবুক কমিউনিটি)
  • সাথে থাকছে ইন্সট্রাকটর এর সাথে যেকোনো সময়ে যোগাযোগের সুবিধা।
  • কোর্সে একবার জয়েন দেওয়ার পর যেকোনো সময় নিজের ইচ্ছামতো লগ ইন করে কোর্স লেসন দেখতে পাবেন। আপনার এক্সেস কখনো সরানো হবে না।
  • যদি কোর্সে জয়েন করার পর আপনার মনে হয় এই কোর্সটি নিয়ে আপনি লাভবান হননি বা কিছু শিখতে পারেননি তাহলে আপনি চাইলে মানি ব্যাক পেয়ে যাবেন। তবে এরজন্য কোর্সে জয়েনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই মানি ব্যাক রিকুয়েষ্ট করতে হবে এবং আপনার সম্পুর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ২৪ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে এই শর্ত কাজ করবে না।

কোর্সটিতে বর্তমানে একটি অফার চলছে। আপনি যদি 50OFF এই কুপন কোডটি ব্যবহার করেন, তাহলে একটা ৫০% ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন!

তবে পেইড কোর্স কেনার ক্ষেত্রেও কিন্তু ঝামেলা আছে। বাজারে শত শত কোর্স আছে এখন যেখানে প্রচুর ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রতিনিয়ত অনেকেই স্কেমারদের পাল্লায় পড়ে নিজের টাকাগুলো হারাচ্ছেন। 

পেইড কোর্স কেনার আগে যেই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখবেন-

  • কোর্সের রিভিউ অবশ্যই চেক করবেন। যারা যারা কোর্সটি করেছেন সম্ভব হলে তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে রিভিউ নেবেন।
  • কোর্সের পাশাপাশি কোর্সের সাথে যারা জড়িত, বিশেষ করে কোর্সটি যারা পরিচালনা করছেন এবং যারা ইন্সট্রাক্টর তাদের অভিজ্ঞতা যাচাই করে নিবেন। এমন যদি হয় যে তারাও নেট থেকে অল্প দুয়েকবার রিসার্চ করে এসে একটা কোর্স খুলে আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছে তাহলে ব্যাপারটা নিশ্চই ভালো হবে না।
  • কোর্সটি কীভাবে সাজানো তা অবশ্যই দেখে নিবেন। যেসব কোর্স তাদের কোর্সের সিলেবাস শেয়ার করে না তাদের উপর ভরসা না করাটাই ভালো।
  • কোর্সটির সাপোর্ট সিস্টেম কী রকম সেটি যাচাই করে দেখবেন। আপনার কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে যদি সমাধান না পান,তাহলে কোর্স করার কোনো অর্থ হয় না। 

পরিশেষে, কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য প্রচুর ধৈর্য্য,গবেষণা ও পড়ার মধ্যে থাকা প্রয়োজন। আপনার যদি ভাষাগত দক্ষতা থাকে তবে ভয় না পেয়ে এই বৈশিষ্ট্যগুলো গড়ে তুলুন নিজের মধ্যে।

সঠিক পথে চললে এবং চেষ্টা থাকলে নিশ্চই আপনি সফল হবেন। আপনার কন্টেন্ট রাইটিং সফর হয়ে উঠুক সুন্দর এবং পরিপূর্ণ,এই আশা রইলো। 

Similar Posts